ভারতীয় জলবায়ু MCQ Quiz in বাংলা - Objective Question with Answer for Indian Climate - বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন [PDF]

সঠিক উত্তর হল হিমালয় মধ্য এশিয়া থেকে আসা চরম ঠান্ডা বাতাস থেকে উপমহাদেশকে রক্ষা করে।Key Points

• হিমালয় পর্বতমালা ভারতীয় উপমহাদেশকে মধ্য এশিয়া থেকে আসা চরম ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে - এটি সঠিক।
• হিমালয় একটি পর্বতশ্রেণী যা মধ্য এশিয়া থেকে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহকে দক্ষিণে ভারতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
• এটি শীতকালে উত্তর সমভূমিকে হিমাঙ্কের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।
• হিমালয় আর্দ্রতা-পূর্ণ মৌসুমি বায়ুর ক্ষেত্রেও একটি বাধা হিসাবে কাজ করে।
• থর মরুভূমি আর্দ্রতা-পূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিম গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বাতাসকে আকর্ষণ করে যা ভারতের বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে।
• ভারতের জলবায়ু হল ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকারের, যেখানে একটি স্বতন্ত্র ভেজা এবং শুষ্ক জলবায়ু থাকে।
• ভারতের জলবায়ু দক্ষিণে ক্রান্তীয় থেকে শুরু করে হিমালয়ের উত্তরে নাতিশীতোষ্ণ এবং আলপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত।

Additional Information

• ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু হল ক্রান্তীয় মৌসুমি, যার স্বতন্ত্র ভেজা এবং শুষ্ক ঋতু রয়েছে।
• এর বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূখণ্ড, অক্ষাংশ এবং হিমালয় ও ভারত মহাসাগরের প্রভাবের কারণে এই অঞ্চলের জলবায়ু বিভিন্ন হয়।
• ঋতু
  • গ্রীষ্ম: মার্চ থেকে জুন, কিছু এলাকায় তাপমাত্রা 40°C পর্যন্ত পৌঁছায়।
  • প্রাক-বর্ষা: উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বে বজ্রপাত সাধারণ।
  • বর্ষা: জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, দেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের তিন-চতুর্থাংশ এই সময়ে হয়।
  • শরৎ: অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা কমে যায়।
  • শীত: জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি, উত্তর-পশ্চিমে তাপমাত্রা 10°C থেকে 15°C এবং দক্ষিণ-পূর্বে 20°C থেকে 25°C পর্যন্ত থাকে।

সঠিক উত্তর হল শুষ্ক।

Key Points

• থর মরুভূমি, যা মহান ভারতীয় মরুভূমি নামেও পরিচিত, এর শুষ্ক জলবায়ুর জন্য পরিচিত।
• এই অঞ্চলে অত্যন্ত কম বৃষ্টিপাত হয়, সাধারণত বার্ষিক 250 মিমির কম।
• থর মরুভূমিতে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, প্রচণ্ড গরম গ্রীষ্ম এবং ঠান্ডা শীত থাকে।
• ভূমিভাগ বালুকাময় ভূমি, টিলা এবং বিরল উদ্ভিদ দ্বারা আধিপত্য বিস্তার করে।
• শুষ্ক জলবায়ু মরুভূমির কম আর্দ্রতা এবং উচ্চ বাষ্পীভবন হারের কারণ।
• থর মরুভূমি ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে বিস্তৃত।

Additional Information 

• ক্রান্তীয় বৃষ্টিবন
  • একটি ক্রান্তীয় বৃষ্টিবন জলবায়ু বছর জুড়ে উচ্চ তাপমাত্রা এবং ভারী বৃষ্টিপাত দ্বারা চিহ্নিত।
  • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবন সাধারণত বিষুবরেখার কাছে পাওয়া যায়।
  • উদাহরণস্বরূপ দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বৃষ্টিবন এবং আফ্রিকার কঙ্গো বৃষ্টিবন।
• নাতিশীতোষ্ণ
  • একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু মধ্যম তাপমাত্রা এবং ঋতু পরিবর্তন অভিজ্ঞতা।
  • নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত।
• আর্দ্র উপক্রান্তীয়
  • একটি আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ু গরম, আর্দ্র গ্রীষ্ম এবং মৃদু শীত দ্বারা চিহ্নিত।
  • এই জলবায়ু সাধারণত মহাদেশগুলির পূর্ব উপকূলে পাওয়া যায়, যেমন দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের কিছু অংশ এবং জাপান।

সঠিক উত্তর হল কাশ্মীর।

Key Points 

• কাশ্মীর একটি অনন্য শীতকাল অনুভব করে যা 'চিল্লাই-কালান' নামে পরিচিত।
• 'চিল্লাই-কালান' হল তীব্র ঠান্ডার একটি সময়কাল যা 40 দিন ধরে চলে, যা 21শে ডিসেম্বর থেকে 31শে জানুয়ারী পর্যন্ত চলে।
• এই সময়ের মধ্যে, এই অঞ্চলে অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং তুষারপাত হয়।
• তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে যেতে পারে, যা কাশ্মীরে শীতের শীতলতম অংশে পরিণত হয়।
• এই সময়কাল এই অঞ্চলের জল সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সময়ে জমে থাকা বরফ বসন্তে গলে যায় এবং নদী ও স্রোতকে পুনরায় পূরণ করে।
• কাশ্মীরি মানুষের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা এবং সংস্কৃতি 'চিল্লাই-কালান' দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়।

Additional Information 

• আসাম
  • আসাম ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত এবং এটি তার চা বাগান এবং বিহু উৎসবের জন্য পরিচিত।
  • এই অঞ্চলে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাতসহ একটি আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজ করে।
• তামিলনাড়ু
  • তামিলনাড়ু ভারতের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এবং এটি তার মন্দির এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত।
  • রাজ্যটি গরম গ্রীষ্ম এবং মৃদু শীতকালীন একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু অনুভব করে।
• কেরালা
  • কেরালা ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত এবং এটি তার ব্যাকওয়াটার এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য পরিচিত।
  • রাজ্যটি ভারী বর্ষা এবং উচ্চ আর্দ্রতা সহ একটি ক্রান্তীয় জলবায়ু অনুভব করে।

সঠিক উত্তর হল অত্যন্ত পরিবর্তনশীল, বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান।

Key Points

• ভারতে অত্যন্ত পরিবর্তনশীল বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয়, যা বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য সহ পরিলক্ষিত হয়।
• মেঘালয়, বিশেষ করে মৌসিনরাম, প্রতি বছর 400 সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত সহ ভারতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
• অন্যদিকে, লাদাখ এবং পশ্চিম রাজস্থানের মতো অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 10 সেন্টিমিটারের কম হয়, যা তাদের কিছু শুষ্কতম অঞ্চল করে তোলে।
• এই পরিবর্তনশীলতা মৌসুমি বায়ু, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং স্থানীয় জলবায়ু পরিস্থিতির মতো কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়।
• বৃষ্টিপাতের এই বৈষম্য ভারতে জল সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি পরিকল্পনা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

Additional Information 

• মৌসুমি বায়ুর প্রভাব
  • ভারতীয় মৌসুমি বায়ু একটি প্রধান জলবায়ুগত ঘটনা যা সারা দেশে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ধরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
  • দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুম (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) ভারতে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে, বিশেষ করে পশ্চিম উপকূল এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করে।
• পশ্চিমী ঝঞ্ঝা
  • পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হল ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উদ্ভূত অতিরিক্ত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় যা ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশে শীতকালীন বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে।
  • পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার মতো অঞ্চলে রবি ফসলের জন্য এই ঝঞ্ঝাগুলি গুরুত্বপূর্ণ।
• বৃষ্টিচ্ছায় প্রভাব
  • দাক্ষিণাত্য মালভূমির মতো অঞ্চলগুলি পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিচ্ছায় প্রভাবের কারণে কম বৃষ্টিপাত অনুভব করে।
  • এই ঘটনাটি ঘটে যখন পর্বতগুলি বৃষ্টি-উৎপাদনকারী আবহাওয়া ব্যবস্থার পথ আটকে দেয়, যার ফলে বায়ুপ্রবাহের বিপরীত পাশে শুষ্ক অবস্থা তৈরি হয়।
• জলবায়ু অঞ্চল
  • ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ জলবায়ু অঞ্চল দক্ষিণে ক্রান্তীয় থেকে শুরু করে উত্তর হিমালয়ে আলপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত।
  • এই বৈচিত্র্য সারা দেশে পরিলক্ষিত বিভিন্ন বৃষ্টিপাতের ধরণে অবদান রাখে।

সঠিক উত্তর হল বর্ষা।

Key Points

• দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের বেশিরভাগ অংশ নিয়ে আসে।
• এই বায়ু সাধারণত বর্ষা ঋতুতে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করে, যা জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
• মৌসুমের আগমন জুন মাসের শুরুতে কেরালার উপকূলে এই বায়ুর আগমনের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়।
• মৌসুমি বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত: আরব সাগর শাখা এবং বঙ্গোপসাগর শাখা।
• এই বায়ু ভারতে কৃষিকাজ এবং জলসম্পদ এর জন্য দায়ী, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বর্ষা ঋতুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
• প্রতি বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমের আগমন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা হয় কারণ এটি তীব্র গ্রীষ্মের তাপ থেকে মুক্তি দেয়।

Additional Information

• গ্রীষ্ম
  • ভারতে গ্রীষ্মকাল সাধারণত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
  • এই সময়কালে, তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে ভারতের উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যভাগে।
  • গ্রীষ্মকাল উষ্ণ এবং শুষ্ক আবহাওয়া দ্বারা চিহ্নিত হয়, যা মৌসুমের আগমনের পূর্বে ঘটে।
• মৌসুমি পরবর্তী
  • মৌসুমি পরবর্তী ঋতু, যা শরৎকাল নামেও পরিচিত, অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
  • এই সময়কালে, মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহার হয় এবং আবহাওয়া আরও স্থিতিশীল এবং পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
  • এই ঋতু বৃষ্টিপাতের ক্রমশ হ্রাস এবং তাপমাত্রার হ্রাস দ্বারা চিহ্নিত হয়।
• শীত
  • ভারতে শীতকাল সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
  • এই সময়কালে, তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়, বিশেষ করে ভারতের উত্তরাঞ্চলে।
  • শীতকাল শীতল এবং শুষ্ক আবহাওয়া দ্বারা চিহ্নিত হয়, উত্তরাঞ্চলে মাঝে মাঝে শীতল ঢেউয়ের সাথে।

সঠিক উত্তর হল ​কর্ণাটক

Key Points

• ভারতে, বঙ্গোপসাগরে বজ্রঝড়ের বিকাশের ফলে আমের বৃষ্টি হয়।
• তারা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়:
  • কর্ণাটকে চেরি ব্লসম বৃষ্টি বা কফি বৃষ্টি;
  • বাংলায় কাল বৈশাখী;
  • আসামের বারদোসিলা
• চেরি ব্লসম বা আমের বৃষ্টি হল প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টিপাতের নাম।
• তারা একটি বাজ ঝড় দ্বারা সৃষ্ট বৃষ্টি হয়।

এতদনুসারে, আমরা বলতে পারি যে কর্ণাটকে, বজ্রপাতের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিকে 'চেরি ব্লসম' বলা হয়।

সঠিক উত্তর হল "কেরালা"।

Key Points

• ম্যাংগো শাওয়ার হল প্রাক-মনসুন শাওয়ার। 
• এগুলি কেরালা এবং কর্ণাটক রাজ্যে সাধারণভাবে দেখা যায়।
• এই বৃষ্টি আম পাকতে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মকালের শেষে হয়।
• এগুলিকে এপ্রিল বৃষ্টি হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।

Additional Information

• ব্লসম শাওয়ার -
  • এটি চেরি ব্লসম বা এসপ্রেসো শাওয়ার নামেও পরিচিত।
  • এটি বায়ু অঞ্চলের কাছাকাছি ঘটে।
  • ভারতে এই সময়কালকে বর্ষাকাল বলা হয়।
• টি/চা শাওয়ার -
  • চা বাগানের জন্য প্রাক-মনসুন বৃষ্টির প্রয়োজন হয়।
  • এটি আসামে 'টি/চা শাওয়ার' নামে পরিচিত।
  • পশ্চিমবঙ্গে একে কালবৈশাখী বলা হয়।  

সঠিক উত্তর হল আম ধারাবর্ষণ

• আম ধারাবর্ষণ হল সেই স্থানীয় বাতাস যা আম পাকাতে সহায়তা করে।

সঠিক উত্তর হল কেরালা।

Key Points

• ভারতের একটি উপকূলীয় রাজ্য কেরালার পশ্চিম ঘাট, যেখানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরব সাগর শাখা দেশে প্রবেশ করে, এই অঞ্চলটি বর্ষা থেকে প্রথম বৃষ্টিপাত দেখে।
• কেরালা, একটি ভারতীয় উপকূলীয় রাজ্য, ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু থেকে বৃষ্টিপাত হয় কারণ মৌসুমীর আরব সাগর শাখা পশ্চিম ঘাটে প্রথমে আঘাত করে।

Additional Information

• সাধারণভাবে, এটি অনুমান করা হয় যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু জুনের শুরুতে দেখা যাবে এবং সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শেষ হবে।
• আরব সাগর শাখা এবং বঙ্গোপসাগর শাখা গঠিত হয় যখন আর্দ্রতা-বোঝাই বায়ু ভারতীয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে পৌঁছানোর পরে বিভক্ত হয়, যা এর ভূসংস্থানের ফলে হয়।

সঠিক উত্তরটি হলো জুন থেকে সেপ্টেম্বর।

• দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু:
  • ভারতের বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দ্বারা।
  • দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী কাল বলতে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যবর্তী সময়কালকে বোঝায়।
  • দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু হলো বৃষ্টিবাহী ঋতুভিত্তিক বায়ু যা দক্ষিণপশ্চিম দিক বরাবর আরব সাগর থেকে ভারতের মূল স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়।

​

• উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু: 
  • ​যখন বায়ু স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে ফিরে যায় এটি তখন পশ্চাদপসারী মৌসুমী বায়ু বলে পরিচিত হয়।
  • পশ্চাদপসারী মৌসুমী বায়ুকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুও বলা হয়।
  • অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর সময়কাল হিসেবে উল্লেখিত হয়।
  • এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়।
  • তামিলনাড়ু উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর দ্বারা সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত লাভ করে।

সঠিক উত্তর হল উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু

Key Points 

উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু:

• ভারতে প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমী বায়ু অক্টোবর-নভেম্বরে অনুভব করা যেতে পারে।
• মৌসুমী বায়ু ক্রমশ পিছিয়ে যায় এবং অক্টোবর তাপের সাথে হঠাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
• দিনের তাপমাত্রা বেশি হয় এবং রাতগুলি শীতল এবং মনোরম হয়।
• গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 20o সেলসিয়াসের নীচে নেমে আসে।
• এটি তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত করে।
• এর দিশা হল উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।
• ভারতে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের একটি ক্ষুদ্র অংশ এই ধরনের উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর কারণে হয়।

সুতরাং, উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু শীতের শুরুতে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটায়।

Additional Information 

মৌসুমী বায়ু:

• 'মৌসুমী বায়ু' শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ 'মৌসিম' থেকে, যার অর্থ ঋতু।
• একটি মৌসুমী বায়ু হল একটি অঞ্চলের বিরাজমান, বা সবচেয়ে শক্তিশালী, বাতাসের দিকের একটি ঋতু পরিবর্তন।
• মৌসুমী বায়ু গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে আর্দ্র ও শুষ্ক ঋতু সৃষ্টি করে।
• মৌসুমী বায়ু প্রায়শই ভারত মহাসাগর এবং ভারতীয় উপ-মহাদেশের সাথে যুক্ত হয়।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু:

• জুন-সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অনুভূত হতে পারে।
• সমগ্র ভারত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আওতায় আসে।
• ভারত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রঝড়ের সম্মুখীন হয়।
• জুলাই এবং আগস্ট মাসে তাপমাত্রা কম থাকে।
• এটি সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের হ্রাসের সাথে উচ্চমাত্রায় বৃদ্ধি পায়।
• ভারতে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের একটি বড় অংশ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর কারণে হয়।

সঠিক উত্তর পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম

Key Points

• ভারতের আবহাওয়া দফতরের মতে, প্রাক-বর্ষা ঋতু মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তাই এই সময়ে যে কোনও বৃষ্টিপাত প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টির জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
• বাংলা এবং আসামে, এই ভয়ঙ্কর সন্ধ্যার বজ্রপাত সাধারণ। তাদের কুখ্যাতি স্থানীয় শব্দ "কালবৈশাখী" থেকে বোঝা যায়, যা বৈশাখ মাসে ঘটে যাওয়া বিপর্যয়কে বোঝায়।
• এই বৃষ্টি ধান, পাট এবং চা চাষের জন্য সহায়ক। এই ঝড়গুলিকে আসামে "বারদোলি ছীঢ়া" বলা হয়।

Additional Information

• প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টি
  • প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টি, যা কখনও কখনও "আম বৃষ্টি" নামে পরিচিত, ছোট ছিটা থেকে শুরু করে বজ্রসহ ভারী বর্ষণ পর্যন্ত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে যে বজ্রঝড় সৃষ্টি হয়েছে তা এর জন্য দায়ী।
  • বিশেষ করে কেরালা এবং কর্ণাটকের উপকূলে, প্রাক-মৌসুমি বর্ষণ ঘন ঘন হয়।
  • বর্ষাকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আগে প্রাক-মৌসুমি বৃষ্টি হয়। এটি মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সঞ্চালিত হয়। এগুলি সামান্য গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে শুরু করে সহিংস বজ্রঝড় পর্যন্ত হতে পারে।
  • এগুলি আমের প্রথম দিকে পাকাতে সাহায্য করে এবং কখনও কখনও গ্রীষ্মের বৃষ্টি বা আমের বৃষ্টি নামে পরিচিত।

সঠিক উত্তর হল শুষ্ক শীতের সাথে বর্ষা।

Key Points 

• কোপেনের স্কিম:-
  • এটি কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ নামেও পরিচিত, এটি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরণগুলির উপর ভিত্তি করে বিশ্বের জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ এবং বর্ণনা করার জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত সিস্টেম।
  • এটি 20 শতকের গোড়ার দিকে রাশিয়ান-জার্মান জলবায়ুবিদ ভ্লাদিমির কোপেন দ্বারা বিকশিত হয়েছিল এবং তারপর থেকে এটি বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে।
  • কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি পৃথিবীর জলবায়ুকে পাঁচটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত করে, প্রতিটি একটি নির্দিষ্ট অক্ষর কোড দ্বারা মনোনীত:
    • গ্রীষ্মমন্ডলীয় (A): এই জলবায়ুগুলি সারা বছর উচ্চ তাপমাত্রা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এগুলি সাধারণত নিরক্ষীয় অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট এবং সাভানা অন্তর্ভুক্ত করে।
    • শুষ্ক (বি): শুষ্ক জলবায়ু কম বৃষ্টিপাতের মাত্রা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এগুলি আরও তিনটি উপপ্রকারে বিভক্ত:
      • BWh: উষ্ণ মরুভূমির জলবায়ু, অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা এবং খুব কম বৃষ্টিপাত সহ।
      • BWk: ঠাণ্ডা মরুভূমির জলবায়ু, গরম মরুভূমির মতো কিন্তু ঠান্ডা শীতের সঙ্গে।
      • BSh/BSk: স্টেপ্পে জলবায়ু, মাঝারি তাপমাত্রা এবং কম বৃষ্টিপাত সহ।

    • নাতিশীতোষ্ণ (C): নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর স্বতন্ত্র ঋতু এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এগুলি তিনটি উপপ্রকারে বিভক্ত: Cfa/Cwa, Cfb/Cwb, Csa/Csb:

    • মহাদেশীয় (D): মহাদেশীয় জলবায়ুর বিস্তৃত তাপমাত্রা পরিসীমা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। এগুলি দুটি উপপ্রকারে বিভক্ত: Dfa/Dwa, Dfb/Dwb 

    • পোলার (E): মেরু জলবায়ু অত্যন্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং খুব কম বৃষ্টিপাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এগুলি দুটি উপপ্রকারে বিভক্ত: ET, EF

  • কোপেনের জলবায়ু শ্রেণীবিন্যাস পরিকল্পনা ভারতে একটি নির্দিষ্ট ধরণের জলবায়ুর জন্য "Cwg" কোডকে মনোনীত করে।
    • এই শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিতে, "C" একটি নাতিশীতোষ্ণ বা মেসোথার্মাল জলবায়ুকে প্রতিনিধিত্ব করে, "w" একটি শুষ্ক শীতকালীন ঋতু নির্দেশ করে এবং "g" একটি গরম গ্রীষ্মকে বোঝায়।
    • অতএব, ভারতের "Cwg" জলবায়ু হল একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু যেখানে একটি শুষ্ক শীত এবং একটি গরম গ্রীষ্ম।
    • এই ধরনের জলবায়ু উত্তর ভারতের কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়, বিশেষ করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে।

সঠিক উত্তরটি হল ব্লসম শাওয়ার।

• ব্লসম শাওয়ার কফির ফুল ফোটাতে সাহায্য করে ।
• প্রাক-বর্ষা বৃষ্টি আম পাকাতে সাহায্য করে।
• অবস্থান: কেরালা এবং কর্ণাটক।

Additional Information

• স্থানীয় বাতাসের তালিকা:

সঠিক উত্তর হল পাঞ্জাব।

Key Points

• দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপসাগর শাখা এবং আরব সাগর শাখা নামে দুটি শাখায় আসে।
• আরব সাগরের পার্শ্ববর্তী মৌসুমি বায়ু থর মরুভূমিতে একটি নিম্নচাপ এলাকা তৈরি করে।
• এটি বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী মৌসুমী বায়ুর তুলনায় বেশ শক্তিশালী।
• দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরব সাগর শাখা ভারতের উপকূলীয় রাজ্য কেরালার পশ্চিম ঘাটে প্রথম আঘাত হানে, এইভাবে এই অঞ্চলটি দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু থেকে বৃষ্টি প্রাপ্ত ভারতের প্রথম রাজ্যে পরিণত হয়।
• দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুতে, তামিলনাড়ু শুষ্ক থাকে কারণ এটি বৃষ্টির ছায়া এলাকায় অবস্থিত।
• আরব সাগরের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি অনেক বেশি।
• পাঞ্জাব-হরিয়ানা সমভূমি আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগর উভয় থেকে প্রায় সমান দূরত্বে অবস্থিত। আরও, মৌসুমী বায়ুর উভয় শাখার দিক পাঞ্জাব, হরিয়ানা সমভূমির দিকে অভিমুখী এবং এই অঞ্চলে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের মৌসুমি বায়ু উভয় থেকেই বৃষ্টিপাত হয়। অতএব, বিকল্প 1 হল সঠিক।
•